সিন্থেটিক পোশাক ও উলের পোশাক ডিটারজেন্ট পাউডার ধুলে রং চলে যেতে পারে । তাই ভালো জামা কাপড় কাচার জন্য অনেকেই লিকুইড ডিটারজেন্ট ব্যবহার করেন ।সাবান বা ডিটারজেন্ট পাউডার তৈরির জন্য গ্রাম শহরে অনেক ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে উঠলেও এই ব্যবসায় কিন্তু এখনো সেই ভাবে প্রতিযোগিতা শুরু হয়নি গ্রামের লিকুইড ডিটারজেন্ট তৈরি করে শহরে বিক্রি করতে পারেন তবে মনে রাখবেন লিকুইড সোপ ও লিকুইড ডিটারজেন্ট কিন্তু একই নয় ।
৩/ ইউরিয়া (৫কেজি)
৪/ ফোম বুস্টার ( ১ কেজি )
৫/সুগন্ধি (৫০০গ্রাম)
50 হাজার টাকার পুঁজি নিয়ে কোন যন্ত্রপাতি ছাড়াই এই ব্যবসা করা যায় । তার জন্য ঘর লাগবে একশো কুড়ি বর্গফুটের ।
লিকুইড ডিটারজেন্ট তৈরির উপাদান ও ফর্মুলা ::
লিকুইড ডিটারজেন্ট তৈরির জন্য দরকার এইসব উপাদান ।
১/ অ্যাসিড স্যালারি (১৪ কেজি)
২/ কস্টিক সোডা (২কেজি )১/ অ্যাসিড স্যালারি (১৪ কেজি)
৬/জল (৭৭ লিটার) ।
:::::সর্তকতা::::
১/ সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম যেমন প্রটেক্টিভ গুগোলস , রাবার গ্লাভস, নাকের মাস্ক ,রাবার জুতা, সেফটি জ্যাকেট পড়ে নিন ।
২/ কস্টিক সোডা একটি অত্যন্ত ক্ষারীয় পদার্থ যা চামড়ার সংস্পর্শে এলে চামড়া পুড়ে বা কুঁচকে বা ঝলসে যেতে পারে । ব্যবহার করার সময় সদা সতর্ক থাকুন ।
৩/ ভুল করেও কখনো কস্টিক সোডার উপর জল ঢালবে না সদা জলের উপর কস্টিক সোডা ঢালবেন অন্যথায় এটি বিস্ফোরিত হয়ে আপনার শরীরে ক্ষতের সৃষ্টি করতে পারে ।
৪/ স্টেনলেস স্টিল ,শক্ত কাঠ এই জাতীয় পদার্থ ছাড়া অন্য কোনো ধাতুর কিছু ব্যবহার করবেন না ।
৫/কাজটি করার সময় শিশুদের সর্বদায় দূরে রাখুন এবং নির্জন খোলামেলা ঘরে কাজ করুন ।
৬/ কাঁচামালের পরিমাপ এখানে অত্যন্ত নিখুত হওয়া উচিত অন্যথায় নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে ।
৭/কস্টিক সোডা জলে মেশানোর সময় এক ধরনের গ্যাস নির্গত হয় সেই গ্যাস থেকে চোখ নাক মুখ সর্বদা সুরক্ষিত রাখুন ।
৮/অ্যালুমিনিয়াম মরিচা ধরা লোহা এবং স্বল্প উষ্ণতায় গলনশীল ধাতব কোনো কিছু ব্যাবহার করবেন না ।
১০/ কাজ শুরু করার সময় সমস্ত জিনিসপত্র হাতের কাছে রাখুন এবং কাজটি করার আগে সর্তকতা বিষয়টি ভালোভাবে পড়ে বুঝে নিন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য :- প্রয়োজনে সম্পূর্ণ বিষয়টি বুঝে খাতায় লিখে নিন তারপর কাজ শুরু করুন।
:::: লিকুইড ডিটারজেন্ট তৈরির পদ্ধতি ::::
- প্রথমে বড় একটি প্লাস্টিকের গামলায় 77 লিটার জল নিন অবশ্যই সেই জল পরিশ্রুত জল হতে হবে অর্থাৎ ডিস্টিলড্ ওয়াটার ।
- এবার ওই জলে 15 কেজি অ্যাসিড স্যালারি মিশিয়ে নিন । এই অ্যাসিড স্যালারি দেখতে অনেকটা রেড়ির তেলের মত । তাই অ্যাসিড স্যালারি কখনো জলে পুরোপুরি মিশবে না ।
- কস্টিক সোডা কিন্তু কাপড় কাচা সোডা বা খাবার সোডার মতো পাউডার নয় সাদা রঙের মিছরির দানার মত দেখতে । অ্যাসিড স্যালারি ও জলের মিশ্রণে কস্টিক সোডা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মিশ্রণটি গরম হতে শুরু করবে ও রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ফেনাও হতে পারে ।
- কস্টিক সোডা গলতে শুরু করলেই ইউরিয়া ঠেলে দেবেন । ফেনা তাতে মরে যাবে ।
- এরপর কাঠের খুন্তি দিয়ে মিশ্রণটি ভালোভাবে নেড়ে নেবেন । এখানে শক্ত কাঠের লাঠি ব্যবহার করবেন ।
- লিকুইড ডিটারজেন্ট তৈরি হয়েছে কিনা তা পরখ করার জন্য একটা হলুদ রঙের pH পেপার নিন । ওই মিশ্রণে ডোবানোর সঙ্গে সঙ্গে যদি কাগজটির রং লালচে হয় তবে বুঝবেন লিকুইড ডিটারজেন্ট তৈরি হয়ে গেছে ।
- সবশেষে ওই মিশ্রণে ফোন বুস্টার ও সুগন্ধি ঢেলে মেরে প্লাস্টিকের কৌটায় বা ক্যানে ভরে ফেলবেন । এখন আপনার লিকুইড ডিটারজেন্ট বাজারে বিক্রির জন্য তৈরি ।








2 Comments
কেমিক্যাল গুলোরমূল্য তালিকা দেওয়া যাবে।আর সম্পুর্ন ফর্মুলা তৈরি করতে কত খরচ হবে।বাজারে ১ কিজি লিকুইড এর খুচরা মুল্য কত।প্লিজ জানাবেন
ReplyDeletecontact sandhane7din@gmail.com
Delete