ভারত সরকারের এই স্কিমের আওতায় এবার আপনিও পেতে
পারেন মাসিক 3000 টাকা পেনশন আমৃত্যু পর্যন্ত। ভারত
সরকারের 'মানধন যোজনা'র আওতায় থাকা অনেকগুলি
স্কিমের মধ্যে এটি একটি বিশেষ লাভজনক স্ক্রিম। কারা কারা
এই স্ক্রিমটিতে আবেদন করতে পারবে, আবেদন করার জন্য
বয়স কত হতে হবে? কারা কারা এই স্ক্রিমটিতে আবেদন
করতে পারবে না, আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে,
ইত্যাদি পুরো ডিটেলস নিচে দেওয়া রয়েছে। 02/06/2021
তারিখ অনুযায়ী প্রায় 46 লক্ষ লোক এই স্কিমের আওতায় নাম
নথিভুক্ত করিয়েছেন। ভারতবর্ষের প্রায় 42 কোটি মানুষ এই
স্কিমের আওতায় এসে স্কিমটির সুবিধা নিতে পারে ।
আপনি কি এই 42 কোটি মানুষের মধ্যে পড়েন?
দেখে নিন বিশদে নিচে দেওয়া রয়েছে -
![]() |
| PMSYM যোজনা |
কি কি ডকুমেন্ট লাগবে ?
ডকুমেন্ট হিসেবে আধার কার্ড এবং একটি সেভিংস ব্যাংক একাউন্ট অবশ্যই থাকতে হবে। এছাড়া জনধন যোজনার জিরো একাউন্ট আই এফ এসসি ( IFSC ) কোড সহ থাকলেও চলবে।
আবেদনের বয়স এবং কারা কারা আবেদন করতে পারবে
18 থেকে 40 বছরের মধ্যে যে সমস্ত আন-অর্গানাইজড ওয়ার্কার অর্থাৎ অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক রয়েছে, যাদের মাসিক ইনকাম 15 হাজার টাকার নিচে তারাই এই স্কিমের সুবিধা নিতে পারবে।
এবার আন-অর্গানাইজড ওয়ার্কার বা অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক কারা?
যারা সরকারি কোন সংস্থা বা সরকার স্বীকৃত কোন সংস্থা বা অর্গানাইজড বা সংগঠিত কোন সংস্থা যেখানে ই ,পি, এফ(EPFO/NPS/ESIC) অ্যাকাউন্ট রয়েছে এই ধরনের কোন সংস্থার সাথে যুক্ত নন । যেমন :
কৃষি শ্রমিক
রিকশাচালক
ভ্যানচালক
গাড়ির চালক
দোকানের কর্মচারী
রাজমিস্ত্রি
কাঠমিস্ত্রি
গাড়ির খালাসী
মিড্ - ডে মিল শ্রমিক
ধোপা
ভূমিহীন কর্মচারী
ঘরোয়া কাজের সাথে যুক্ত
ইটভাটার শ্রমিক
ফুটপাতের দোকান
মুচি
মেথর
তাঁতি
বিড়ি শ্রমিক
চামড়ার শ্রমিক
ক্ষেতমজুর
ইত্যাদি এই ধরনের অসংগঠিত ক্ষেত্রের যত শ্রমিক রয়েছে যারা ই,পি,এফ(EPFO) একাউন্ট এর সুবিধা পান না, যাদের পি,এফ(PF) অ্যাকাউন্ট নেই , সেই সমস্ত লোকেরা এই যোজনাটির সুবিধা নিতে পারে। বিশেষ করে এই ধরনের লোকের বয়স্ক কালের প্রটেকশন এবং সোশ্যাল সিকিউরিটি র জন্যই এই স্কিমটির সূচনা হয়েছে।
কারা কারা প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনায় আবেদন করতে পারবে না
সমস্ত সরকারি কর্মচারী ,
সংগঠিত সংস্থার সাথে যুক্ত যারা,
যারা ইনকাম ট্যাক্স দেয়,
যাঁরা EPFO/NPS/ESIC ইত্যাদির সুবিধা পায় তারা এই স্কিমে আবেদন করতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনা কি ?
প্রধানমন্ত্রীর শ্রমযোগী মান্ধন একটি সরকারী স্কিম যা বার্ধক্য সুরক্ষা এবং অসংগঠিত শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষার জন্য।
এটি একটি স্বেচ্ছাসেবী এবং অবদানমূলক পেনশন প্রকল্প যার অধীনে গ্রাহক 60 বছর বয়সের পরে প্রতি মাসে ন্যূনতম আশ্বাসপ্রাপ্ত ৩০০০/- টাকা করে পেনশন পাবেন এবং গ্রাহক মারা গেলে তার স্ত্রী ৫০% পাওয়ার অধিকারী হবে পারিবারিক পেনশন হিসাবে পেনশন। পারিবারিক পেনশন কেবল স্ত্রী / স্ত্রীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
প্রকল্পের পরিপক্কতার পর, গ্রাহক ব্যক্তি প্রতিমাসে তিন হাজার(3000 / -) টাকা পেনশন পাওয়ার অধিকারী হবে। আশ্বাসপ্রাপ্ত পেনশন 3000 / - প্রতি মাস। এই পেনশনের পরিমাণ পেনশনধারীদের বার্ধক্য জীবনে তাদের আর্থিক প্রয়োজনে সহায়তা করতে সহায়তা করবে।
কিভাবে চালু হয় স্কিমটি
এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে গেলে তোমাদের যে ব্যাংক একাউন্টটি প্রকল্পের সাথে যুক্ত করবে সেই অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিমাসে একটা এমাউন্ট অটোমেটিক্যালি প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনা একাউন্ট কেটে নেবে । সেটা মাসিক কিস্তিও করে নিতে পারবে , কোয়ার্টারলি কিস্তিও করে নিতে পারবে বা ছয় মাস পর পরও করে নিতে পারবে সেটা আবেদনকারীর সুবিধা অনুসারে করে নিতে পারবে।
মাসিক কিস্তি সর্বনিম্ন 55 টাকা থেকে শুরু এবং সর্বোচ্চ 200 টাকা অবধি হতে পারে এই কিস্তির পরিমাণ নির্ভর করে আবেদনকারীর বয়সের উপর।
18 থেকে 40 বছরের মধ্যে আবেদনকারী যে বয়সেই প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনায় যুক্ত হোক না কেন তার বয়স 60 বছর হওয়া অবধি তাকে কিস্তি চালিয়ে যেতে হবে যেরকমভাবে পি,এফ এর কিস্তি চলে।
কত বছর বয়সে যুক্ত হলে মাসিক কিস্তি কত করে দিতে হবে
Chart টি follow করুন কিস্তির
![]() |
| কোন বয়সে যুক্ত হলে কত টাকা কিস্তি |
যদি কোন ব্যক্তি 18 বছর বয়সে যুক্ত হয় তাহলে 55 টাকা করে মাসিক কিস্তি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নিবে এবং সরকারও তার অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে 55 টাকা জমা করবে। তাহলে সেই ব্যক্তির শ্রমযোগী মানধন যোজনার একাউন্টে প্রতিমাসে 110 টাকা করে জমা পড়বে। এই টাকাটা সেই ব্যক্তি কে 60 বছর বয়স পর্যন্ত জমা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনা স্কিম এর অ্যাডভান্টেজ ( Advantage)
যোগ্য গ্রাহকের মৃত্যুর পরে পরিবারের উপকার পাবেন
পেনশন প্রাপ্তির সময়, কোনও যোগ্য গ্রাহক মারা গেলে তার স্ত্রী কেবল পারিবারিক পেনশন এবং এই জাতীয় পারিবারিক পেনশন হিসাবে কেবলমাত্র উপযুক্ত গ্রাহক দ্বারা প্রাপ্ত পেনশনের পঞ্চাশ 50% শতাংশ পাওয়ার অধিকারী হবেন কেবলমাত্র স্ত্রী / স্ত্রীর ক্ষেত্রে।
গ্রাহক অক্ষম হয়ে গেলে
যদি কোনও যোগ্য গ্রাহক 60 বছর বয়স প্রাপ্ত হওয়ার আগে কোনও কারণে নিয়মিত অবদান রেখে এবং স্থায়ীভাবে অক্ষম হয়ে পড়ে এবং এই প্রকল্পের আওতায় অবদান রাখতে অক্ষম হন, তবে তার স্ত্রী পরবর্তী সময়ে নিয়মিত অর্থ প্রদানের মাধ্যমে এই প্রকল্পে চালিয়ে যাওয়ার অধিকারী হবেন। পেনশন তহবিলের দ্বারা আদায় করা সুদ বা এর উপর সঞ্চয় ব্যাংকের সুদের হারে, যে কোনও উচ্চতর যে পরিমাণে তার চেয়ে বেশি সুদ নিয়ে এই জাতীয় গ্রাহকের জমা দেওয়া অবদানের অংশ গ্রহণ করে প্রযোজ্য হিসাবে অবদান বা এই প্রকল্পটি প্রস্থান করে।
PMSYM পেনশন প্রকল্প ছেড়ে দেওয়ার সুবিধা
1. যদি কোনও যোগ্য গ্রাহক তার দ্বারা এই স্কিমে যোগদানের তারিখ থেকে দশ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এই স্কিমটি থেকে বেরিয়ে আসে তবে তার দ্বারা প্রদত্ত সুদের সঞ্চয় ব্যাংকের সাথে কেবলমাত্র তার অবদানের অংশ তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
2. যদি কোনও যোগ্য গ্রাহক তার দ্বারা এই প্রকল্পে যোগদানের তারিখ থেকে দশ বছর বা তারও বেশি সময়সীমা শেষ করে বেরিয়ে আসে তবে ষাট বছর বয়সের আগে, তবে তার অবদানের অংশটি কেবলমাত্র তার হিসাবে জমা হওয়া সুদের সাথে তার কাছে ফিরে আসবে পেনশন তহবিল বা তার উপর সঞ্চয় ব্যাংকের সুদের হারে, যেটি আরও বেশি তার দ্বারা অর্জিত।
3. যদি কোনও যোগ্য গ্রাহক নিয়মিত অবদান রাখেন এবং কোনও কারণে মারা যান, তবে তার স্ত্রী পরবর্তী সময়ে প্রযোজ্য হিসাবে নিয়মিত অবদানের অর্থ প্রদান বা জমা হওয়া সুদের পাশাপাশি এই জাতীয় গ্রাহকের প্রদত্ত অবদানের অংশ গ্রহণ করে প্রস্থান হিসাবে প্রস্থান করার মাধ্যমে এই প্রকল্পটি চালিয়ে যাওয়ার অধিকারী হবে, যেমন পেনশন তহবিল বা তার উপর সঞ্চয় ব্যাংকের সুদের হারে, যে কোনওটি বেশি তার দ্বারা আদায় হয়েছে।
4. গ্রাহক এবং তার স্ত্রীর মৃত্যুর পরে, ফান্ড কর্পস তহবিলে জমা হবে।
আবেদন করার জন্য আপনারা নিকটবর্তী সি এস সি (CSC)সেন্টার অথবা তথ্য মিত্র কেন্দ্র অথবা অনলাইনের কাজ যেখানে করে সেখানে যোগাযোগ করুন। সেখানে গিয়ে বলুন আপনি প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনায় নাম নথিভুক্ত করতে চান।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট- https://maandhan.in


0 Comments